আমরা সবাই জানি যে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি ফুটতে থাকে এবং পানি ফুটানোর ফলে পানিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও কিছু কিছু ভাইরাস মারা যায় বা ধ্বংস হয়।
আবার কিছু ভাইরাস আছে যারা অধিক তাপমাত্রার নিজেদেরকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয় ও আত্নরক্ষামূলক সিস্ট তৈরি করে এবং উপযোগী পরিবেশে সিস্ট ভেঙ্গে গিয়ে মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে।
পানি ফুটনোর ফলে আমাদের চোখে যে অদৃশ্যমান ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের মৃতদেহ কিন্তু পানিতেই থেকে যায় এবং সে পানি পান করার পর এই মৃতদেহ গুলো মানবদেহে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসাবে কাজ করে যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
পানি ফুটালে পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন জৈব এবং অজৈব পদার্থ যেমনঃ আর্সেনিক ,আয়রন,সীসা,মার্করী,অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি সহ সকল প্রকার ক্ষতিকারক ধাতব পদার্থ,ময়লা ,বালিকনা পানিতে থেকে যায়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকিপূর্ন।
কিন্তু যেহেতু বেশির ভাগ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারা যায় সেহেতু বাকি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মানব দেহে কিছুটা ক্ষতি করলেও তা সহনীয় পর্যায়ে করে থাকে আর আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারনে আমাদের দেহে তেমন কোন ক্ষতি সাধন হয় না।
তার পরেও উক্ত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে মুক্ত পেতে ফুটানো পানিকে ফিল্টারিং করাই হচ্ছে উত্তম পন্থা ।
পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্টে তা অবশ্যই জানাবেন ধন্যবাদ।