অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী সারাহ গিলবার্টের ভ্যাক্সিনের গবেষণার রেজাল্ট দেখেছেন ?
মোট ১০৭৭ জন ভলান্টিয়ারকে ডেকে এনে তাদের অর্ধেকের শরীরে দেওয়া হল নতুন আবিষ্কৃত ChAdOx1 nCoV-19 নামক ভ্যাক্সিন।
আর বাকি অর্ধেকের শরীরে দেওয়া হল MenACWY নামক মেনিঞ্জাইটিসের ভ্যাক্সিন। ১০৭৭ জনের মধ্যে কেউই জানে না যে তাদের মধ্যে কাকে আসল করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে আর কাকে হয়নি।
এর পরে এই ১০৭৭ জনকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হল। কার শরীরে এন্টিবডি তৈরি হচ্ছে, আর কার শরীরে হচ্ছে না । পূর্নাংগ রেজাল্ট দেখতে পাবেন ল্যানসেট জার্নালের এই লিংকে
অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন বাদেও অন্য সকল ভ্যাক্সিন বা ওষুধের ক্ষেত্রেও একইভাবে টেস্ট করা হয়।
যেমন ধরুন, চীনের যে ভ্যাক্সিনটা বাংলাদেশে ট্রায়াল টেস্ট করা হবে, সেখানেও অর্ধেক ভলান্টিয়ারকে দেওয়া হবে আসল ভ্যাক্সিন, বাকি অর্ধেককে অন্য কিছু দেওয়া হবে, কিন্তু রোগীকে জানানো হবে না যে কি দেওয়া হল।
এ বিষয়ে ভাইরোলজিস্ট ড নজরুল ইসলাম বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর কে বলেছেন, ৪,২০০ জনের উপর টেস্ট করা হবে।
এরমধ্যে অর্ধেককে টিকা দেওয়া হবে এবং অর্ধেককে প্লাসিবো (রোগীকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করার পদ্ধতি, যে তাকে ওষুধ প্রয়োগে চিকিৎসা করা হচ্ছে) দেওয়া হবে।
যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং যাদের প্লাসিবো দেওয়া হবে তারা কেউ জানবে না তাদের ভ্যাকসিন না প্লাসিবো দেওয়া হয়েছে।
এরপর দেখা হয় ইফেক্ট কী হচ্ছে। ইফেক্ট ক্যালকুলেশন করে দেখা হয় কার মধ্যে কী ধরনের ইফেক্ট তৈরি হয়েছে।
ভারতের আবিষ্কার করা কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হচ্ছে।
এই খবর টা থেকে জানা যাচ্ছে , সোমবার ২১ শে জুলাই থেকে।
এই ভ্যাকসিনের ‘ডবল-ব্লাইন্ড’, প্লাসেবো ভিত্তিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জনের ওপর করা হবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।
প্রসঙ্গত, ‘ডবল-ব্লাইন্ড’ ট্রায়ালের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে রাখা থাকবে আসল প্রতিষেধক এবং তার প্লাসেবো।
গবেষক বা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেউই জানবেন না কাকে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে আর কাকে প্লাসেবো।
অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই ডোজ প্রয়োগ করার পরই শুরু হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। দেখা হবে উন্নতি-অবনতির খতিয়ান।
মহাখালির আইসিডিডিয়ারবি তে করোনার ওষুধ হিসেবে ডক্সিসাইক্লিন নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর একটি রিপোর্টে এই গবেষনার পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ” একটি দলের রোগীরা পাঁচ দিনব্যাপী ডক্সিসাইক্লিন পাবেন, অপর একটি দল পাঁচ দিনব্যাপী প্রতিদিন একটি করে প্লাসিবো পাবেন।
পরীক্ষার ওষুধ ও প্লাসিবোগুলো একইভাবে প্যাকেজ করা হবে এবং গবেষণাধীন ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা কেউ জানবেন না কোন রোগী কোন চিকিৎসা পাচ্ছেন।” [source]
(২)
প্লাসিবো জিনিসটা সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি। Placebo হচ্ছে এমন এক ধরনের ওষুধ (বা চিকিৎসা) যে ওষুধের মধ্যে inert বা নিষ্ক্রিয় কিছু কেমিকাল থাকে। তবে রোগ সারানোর মত কার্যকরী কোনো কেমিকাল থাকেনা প্লাসিবোর মধ্যে ।
রোগীকে শুধুমাত্র বুঝ দেওয়া হয়, ব্রেইন ওয়াশ করা হয় । তাকে বুঝানো হয় যে তোমাকে অনেক ভাল-পাওয়ারফুল ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তোমার অসুখ সেরে যাবে।
পুরা ব্যাপারটাই মানসিক । ”আমি ভাল ওষুধ খেয়েছি, এবার আমার রোগ সেরে যাবে”–এই কনফিডেন্স এর কারনেই রোগীর শরীর চনমনে হয়ে ওঠে।
শরীরের রক্তপ্রবাহ , হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধের এনজাইমগুলা কিছুটা বেশি নিঃসরন হয়।
আল্টিমেটলি, রোগী যে যে শারীরিক সমস্যা ভোগ করছিল (মাথা ব্যথা, বুক ব্যাথা, বমি বমি ভাব,চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি ) সেগুলো কমে যায় ।
এই প্লাসিবো ইফেক্ট কাজে লাগিয়ে অনেকেই ব্যবসা করে। আশ্রমের সাধু সন্যাসী, বা মাজারের ফকির পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে খাইয়ে দেয় ।
বলে দেয়, এই ফু দেওয়া পানি পড়া খেলে আসমান জমিনের সকল রোগ দূর হয়ে যাবে, তোর কোনো চিন্তা নেই।
রোগীর ভিতর প্লাসিবো ইফেক্ট কাজ করে। পানি খেয়েই তার মনে হয়, আমি সূস্থ হয়ে গেছি । সব বাবার পানি পড়ার কুদরত ।
“প্লাসিবোর ঝড়ে বক মরে, আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে😊”
মূলত নিউরোবায়োলজিকাল রোগগুলা সাময়িকভাবে সারতে পারে প্লাসিবো।
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরণের ব্যথা ( যেমন: পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা,পিরিয়ডের ব্যথা ইত্যাদি) কিংবা হতাশা, বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।
তবে ক্যান্সার কিংবা জটিল সার্জারির কাজ কিংবা দুরারোগ্য ব্যধি প্লাসিবো দিয়ে কমপ্লিট করা যাবেনা কখনোই।
মানে , ধরুন, আপনার শরীরে ম্যালেরিয়া জীবানু কিলবিল করে বেড়াচ্ছে।
এ কারনে আপনার জ্বর, শরীরে ব্যথা । ধরুন স্বপ্নে ভ্যাক্সিনের ফর্মূলা পাওয়া ইব্রাহিম হুজুর কিংবা অক্সফোর্ডের তারেক মনোয়ার হুজুর এসে ফু দেওয়া শরবত খেতে দিল ।
শরবতের মধ্যে আছে চিনি আর পানি, আর কিছু নেই। আপনি যদি এই হুজুরদের ক্ষমতায় আস্থা রাখেন, তাহলে প্লাসিবো ইফেক্টের কারনে শরবত খেলে আপনার একটু ভাল লাগবে ।
মাথা ব্যাথা কমে যাবে। গা হাত পায়ের ব্যথা কম কম মনে হবে। কিন্তু ম্যালেরিয়া জীবানু একটাও মরবে না।
ওই জীবানু গুলাকে মারার জন্য আপনার আসল ওষুধ দরকার। কুইনাইন বা এই জাতীয় ওষুধগুলা ম্যালেরিয়া জীবানু মারতে পারবে। কোনো প্লাসিবো দিয়ে সে কাজ হবেনা।
তবে, প্লাসিবোর এই সাময়িক রোগ উপসমের ক্ষমতা কাজে লাগিয়েই মুফতি ইব্রাহিম বা অন্যান্য ঝাড়ফুক দেওয়া হুজুরদের জনপ্রিয়তা এত বেশি।
কারন প্রচুর মানুষ প্লাসিবো ইফেক্টের মাধ্যমে এদের কাছ থেকে উপকার পেয়েছে। একই ভাবে, প্লাসিবো ব্যবহার করে অনেক অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি গড়ে উঠেছে।
হোমিওপ্যাথি সবচেয়ে বড় উদাহরন । হিজামা, রুকাইয়া, রেইকি, আকুপাংচার , হিলিং , গরুর মূত্র, উটের মূত্র,পানি পড়া, তেল পড়া, চাল পড়া– ইত্যাদি সব ধরনের অল্টারনেটিভ মেডিসিনের কোনটার মধ্যেই রোগ সারানোর মত কোনো কেমিকাল নেই।
কিন্তু এসব অলটারনেটিভ মেডিসিন খেয়ে খেয়ে অনেকেরই কিছু কিছু রোগ সেরে যায়।
এ কারনে তারা ওই ধারার মেডিসিন কে খুব কার্যকর ভাবে।
জোর গলায় সেটাই প্রচার করে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের শহীদ আল বুখারী মহাজাতকের অলঊকিক নিরাময় ক্ষমতার প্রচার করতে দেখা যায় হাজার হাজার অন্ধ ভক্তকে।
প্রকৃতপক্ষে, প্লাসিবো ইফেক্ট এর কারনেই তাদের রোগের সাময়িকভাবে সেরে গেছে। মাঝখান দিয়ে অলটারনেটিভ মেডিসিন কোম্পানিগুলা ব্যবসা করে।
এই করোনার সিজনে হোমিওপ্যাথি দাবি করতেছে– আমরা হোমিওপ্যাথিতে করোনার ওষুধ তৈরি করে ফেলেছি।
ওষুধের নাম -আর্সেনিক ৩০। করোনায় এই ওষুধের সাফল্যের হার ৯৫% । এই ওষুধ খেয়ে ইংল্যান্ডের রাজপুত্র প্রিন্স চার্লস এর করোনা সেরে গেছে।
[Source]
এদেরকে থামানোর জন্য পরে ইংল্যান্ডের রাজপরিবার থেকে জানানো হয়েছিল , না এই দাবি মিথ্যা।
প্রিন্স চার্লস কখনোই করোনা খায়নি। ইংল্যান্ডের এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তিনি করোনা থেকে সূস্থ হয়েছেন ।
প্লাসিবো ইফেক্টের সাথে আরেকটা টার্ম সম্পর্কিত। সেটা হচ্ছে Nocebo effect।
ওষুধ সম্পর্কে রোগীর মনে যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে শরীর বিদ্রোহ করে।
অনাকাংখিত সাইড ইফেক্ট দেখা দেয় শরীরে। কিংবা ভালভাবে কাজ করেনা শরীরে।
(৩)
যাই হোক, মূল আলোচনায় ফিরে আসি। কোনো নতুন ওষুধ বানানো হলে ট্রায়াল দেওয়ার সময় ভলান্টিয়ারদের মাঝে মূল ওষুধ দেওয়া হয় কিছু, আর কিছু দেওয়া হয় প্লাসিবো ওষুধ।
ওষুধের কেমিকাল এর কারনে ভলান্টিয়ারদের শরীরে কিছু চেঞ্জ আসে। আবার প্লাসিবো ইফেক্ট বা নসিবো ইফেক্টের কারনেও কিছু চেঞ্জ আসতে পারে
ভলান্টিয়ার এর শরীরে নতুন ওষুধের কেমিকাল রিএ্যাকশনের কারনে সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। আবার নোসিবো ইফেক্টের কারনেও সাইড ইফেক্ট হতে পারে।
একইভাবে, ওষুধ খেয়েই ভলান্টিয়ার এর রোগ সেরে যেতে পারে। আবার প্লাসিবো ইফেক্টের কারনেও তার ভাল লাগতে পারে।
এ কারনে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণের জন্য ভলান্টিয়ারদের মধ্যে কিছু আসল ওষুধ দেওয়া হয়, কিছু দেওয়া হয় প্লাসিবো।
ভলান্টিয়ারকে জানানো হয় না যে তাকে আসল ওষুধ দিল নাকি প্লাসিবো দিল। শুধুমাত্র গবেষকের কাছেই আসল তথ্য থাকে।
করোনার ওষুধের খবর যেহেতু খুটিনাটিভাবেই আসছে মিডিয়ায়, তাই আমরা ওষুধ বানানোর প্রতিটা ধাপ সম্পর্কে জানতে পারছি।
যেমন, আমরা এখন জানি, মডার্না যে ভ্যাক্সিনটা বানিয়েছে (mRNA-1273) সেটার ট্রায়ালে ৩ দল ভলান্টিয়ার সিলেক্ট করা হয়েছে।
এক দলকে দেওয়া হয়েছে ৫০ মাইক্রোগ্রাম , আরেক দলের ধরীরে ঢুকানো হয়েছে ১০০ মাইক্রো গ্রাম, আরেক দলের শরীরে শুধুমাত্র প্লাসিবো ইনজেক্ট করা হয়েছে ।
প্রত্যেক গ্রুপের কাছ থেকে এক্সপেরিমেন্টাল ডাটা নিয়ে ,এবং প্লাসিবোর সাথে রেজাল্টের তুলনা করে ওষুধের কার্যকরিতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অক্সফোর্ডে ChAdOx1 nCoV-19 এর সাথে অন্য যে ভ্যাক্সিনটা দেওয়া হচ্ছে, সেটা একেবারে ইনার্ট নয়।
মানে এর মধ্যে কিছু কেমিকাল গুনাগুন আছে।
মেনিনজাইটিস রোগ ঠেকানোর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে , কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকানোর মত কিছুই নেই এর মধ্যে।
বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক ল্যাবে যে তিনটা খরগোশের উপর টেস্ট করেছিল, ওদের প্লাসিবো দেওয়া হয়নি।
সবগুলাকেই আসল ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কারন ,প্লাসিবো সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। মানুষ বাদে অন্যদের উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না।
একইভাবে, যেসব মানুষের মন নেই ( মানে, যাদের ব্রেইন ইন একটিভ, যেমন কোমায় অজ্ঞান হয়ে থাকা রোগী ) তাদের উপর প্লাসিবো একটুও কাজ করবে না। তাদের জ্ঞান ফিরোনার জন্য সত্যিকারের ওষুধই দরকার হবে।
(৪)
শেষ করতে চাই টেন মিনিটস স্কুল থেকে পাওয়া একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে। সাকিব হোসেন জানাচ্ছেন–
‘আমার দুলাভাই নাবিব ভাইয়া গরম পানি বাথ্রুমে আনতে যেয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন, আর সমস্ত গরম পানি পড়ে তার গায়ে, ফলস্বরূপ বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকতে হয় তাকে প্রায় দেড় মাস লম্বা সময়।
তো, রাতে প্রচন্ড ব্যথায় তার ঘুম আসতো না। ডাক্তার তাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য ঘুমের ওষুধ দিতেন ঠিকই, কিন্তু কাজ করত না।
একদিন প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন ভাইয়া, আমরা ডাক্তারকে যেয়ে অনুরোধ করি যেন ভাইয়ার ঘুমের ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দেয়া হয় । কিন্তু ডাক্তার জানান যে, এর চেয়ে বেশি ডোজ দেওয়া যাবেনা।’
তাও অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মত ডাক্তার আমাদের কথা শুনলেন এবং ভাইয়াকে একটা ট্যাবলেট খেতে দিলেন।
ভাইয়া তার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লেন। ভাইয়ার অসহনীয় পেইন দেখতেও খারাপ লাগছিল আমাদের, তাই আমরা গেলাম ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানাতে। কিন্তু গিয়ে শুনি আরেক ঘটনা!
ডাক্তার আমাদের জানালেন, যেটা তিনি দিয়েছেন, সেটা আসলে সাধারণ একটা “সিভিট” টাইপের ট্যাবলেট, যেটা আমরা অনেক সময় কিছু না হলেও চকলেটের মত করে খাই এবং মোটেও ঘুমের ওষুধ না!
কিন্তু ভাইয়া বিশ্বাস করেছিলেন যে, পাওয়ারফুল ঘুমের ওষুধ খেয়েছি, এখন ঘুম তো আসবেই, বাস্তবেও তাই হয়েছিল। এটাই প্লাসিবো ইফেক্ট।
[Souce]হোমিওপ্যাথি বা অন্যান্য অলটারনেটিভ মেডিসিন খেয়ে খেয়ে এভাবেই রোগীরা সূস্থ হয়ে যান, যে ওষুধ গুলার মধ্যে আসলে কিছুই নাই।
আমেরিকার বিখ্যাত ডিবাংকার জেমস রান্ডি একবার হোমিওপ্যাথি দোকানে গিয়ে ৬ মাসের ঘুমের ওষুধের একটা কোর্স কিনেছিলেন।
তারপরে সেই ৬ মাসের ঘুমের ওষুধ একবারে খেয়ে ফেলেছিলেন। কিছুই হয়নি তার। দিব্যি হেটে চলে বেড়িয়েছেন, এমনকি পার্লামেন্টের সেশনেও গিয়েছেন ওই ঘুমের ওষুধ খেয়ে।
[Source]জেমস রান্ডির মত আরো অনেকেই হোমিওপ্যাথির বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে ‘সুইসাইড’ করতে গিয়েছিল।
[source]বলাবাহুল্য, এসব খেয়ে কেউই মরেনি কখনো। আসল সুইসাইড করার জন্য মূলধারার এ্যালোপ্যাথিক ওষুধই খেতে হয়।
সো , আপনি নিজে, বা আপনার আত্মীয় -পরিজন কেউ যদি অল্টারনেটিভ মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে ভাবুন তো, ঠিক কি কারনে ওই ”কিছু না ওষুধ” গুলো ব্যবহার করছেন?