জাহিদ হাসানকে জ্বিন এর রুপে দেখেছেন ?
স্প্রাইট এর একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, মডেল সিয়াম মরুভূমির মধ্যে আলাদ্দিনের জাদুর প্রদীপ খুজে পায়। প্রদীপে ঘষা দিতেই প্রদীপের জ্বিন সেজে হাজির হয়ে যায় অভিনেতা জাহিদ হাসান।
তার কাছে চাইলেই স্প্রাইট পাওয়া যায়। তবে আরেকটু বুদ্ধি খরচ করলে আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় জ্বিনের কাছ থেকে।
আপনি কি বিশ্বাস করেন আলাদ্দিনের জাদুর প্রদীপ আর প্রদীপের জ্বিনের গল্প?
দেশে বিদেশে অনেকেই কিন্তু বিশ্বাস করে। অনেকে বিশ্বাস করে ধরাও খেয়েছে।
কালকেও ধরা খেয়েছে ভারতের এক পাবলিক।
উত্তরপ্রদেশের খারনগর এলাকার ডাক্তার লাকি খান জানিয়েছেন, দুজনে লোক তার কাছে আলাউদ্দিনের প্রদীপ বিক্রি করেছে। দাম হিসেবে তিনি আড়াই কোটি টাকা দিয়ে দয়েছেন। কিন্তু এখনো ওরা সেই প্রদীপ ডেলিভারি দেয়নি। (ইভ্যালির মত অবস্থা আরকি)
পুলিশকে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে সামিনা নামে এক রোগীনীর অপরেশন করেন তিনি। এর পরে সামিনার বাড়িতে মাঝমাঝেই ড্রেসিং করতে যেতেন।
সেখানেই নিজেকে তান্ত্রিক বলে পরিচয় দেওয়া ইসলামুদ্দিনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। নিজের জাদুবিদ্যার গুণে ডাক্তারকে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করে ইসলামুদ্দিন।
এর পরে আনিস নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামুদ্দিন একটি প্রদীপ বিক্রির প্রস্তাব দেয় লাকিকে। তাঁকে বলেন এটিই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ( আলাদিন কা চিরাগ)। যে কোনও ইচ্ছাপূরণের ক্ষমতা রয়েছে এই প্রদীপের।
ডাক্তার এমনও দাবি করেছেন যে, ইসলামুদ্দিন ও আনিস নাকি ওই প্রদীপ থেকে ‘জিন’ বার করিয়ে দেখিয়েছে তাকে একদিন । এর পরেই তিনি বিশ্বাস করে ওই প্রদীপটি আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনতে রাজি হয়ে যান।
(পরে তিনি বুঝতে পারেন, জাহিদ হাসানের মতই কেউ একজন জ্বিন সেজে অভিনয় করেছিল সেখানে)
কিন্তু প্রদীপটি হাতে পাননি ডাক্তার । ধাপে ধাপে আড়াই কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরে তাঁকে বলা হয়, প্রদীপটি দেওয়া যাবে না কারণ, সেটি ছুঁলে ডাক্তারের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কিছুদিন পরে ডাক্তার বুঝতে পারেন, তিনি ঠকেছেন।
তান্ত্রিক পরিচয় দেওয়া ইসলামুদ্দিন আসলে রোগিনী সামিমার স্বামী। তাঁকে ধোঁকা দিতে বন্ধু আনিসের সাহায্য নিয়ে জিন সেজেছিল ইসলামুদ্দিনই। এর পরেই তিনি পুলিশের কাছে যান।
বাংলাদেশেও জিনের বাদশা সেজে অনেকে অনেক ধরনের প্রতারণা করে। সবচেয়ে কমন প্রতারনা হল- জিনের বাদশা সেজে অনেকে ফোন করে বিকাশে টাকা চায়। আরো অনেক সিস্টেম আছে জিনদের। অনেকেই ধরা খায় এদের কে বিশ্বাস করে।
টিভিতে সিনেমায় যদি জিন ভূতের গল্প প্রচার করা বন্ধ হয়, ভূতের গল্প ছাপানো যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে কি মানুষের মধ্যে এই বিশ্বাসগুলা বন্ধ হবে? তখন কি আর মানুষকে ঠকানো যাবে? আমজনতা কি তখন রেহাই পাবে জিনের বাদশাদের প্রতারণা থেকে?
————
ভারতের ডাক্তার লাকি খানের ঘটনার নিউজ
বাংলাদেশের জিনের বাদশাদের ধরা খাওয়ার ঘটনা আছে শত শত। মাত্র ৫ টা নিউজ দেখাই। এত ধরা খাওয়ার পরেও মানুষ সচেতন হয়না।
১..হাকিম চৌধুরী, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২০
২. রংপুর, ২৫শে জুলাই ২০২০
৩. বাবুল মিয়া, ২৯শে জানুয়ারি ২০২০
৪. মাদারিপুর, ২৭শে আগস্ট ২০২০
৫. ৩১শে অক্টোবর, ২০১৭