অনেকে স্বপ্নে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন তাবিজ , কিংবা সর্বরোগের মহৌষধ পান। এই ধরনের ”স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ” অনেক জায়গায় বিক্রি হতেও দেখা যায়।
ম্যারাডোনার দলে এইরকম একটা ‘ স্বপ্নে পাওয়া ফুটবলার’ ছিল। তার নাম Ariel Garcé । আর্জেন্টিনার চতুর্থ ডিভিশন এর একটা ক্লাবে খেলতেন। জাতীয় দলে চান্স পাওয়ার মত আহামারি কোনো খেলা কখনো দেখান নাই।
২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা ওয়ার্ল্ড কাপের জন্য ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা দলের ম্যানেজার নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সে সময় ম্যারাডোনা একদিন স্বপ্নে দেখলেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতে গিয়েছে। পোলাপান সবাই কাপ নিয়ে নাচানাচি করতেছে ।
কিন্তু, সেই নাচানাচি করা পোলাপানের মধ্যে কে কে ছিল, সেটা ঠিক মনে করতে পারেন নাই ম্যারাদোনা। ম্যাচেরানো, মেসি, ভেরন , গুতিরেজ কিংবা সেই সময়ের অন্য স্টারদের কাউকেই স্বপ্নে তার চোখে পড়ে নি।
কিন্তু তিনি নিশ্চিত ছিলেন, এ্যারিয়েল গার্সেকে তিনি স্বপ্নে দেখেছেন । গার্সে কাপ নিয়ে নাচানাচি করছিলেন স্বপ্নের মধ্যে।
নিজের স্বপ্নের প্রতি অগাধ আস্থা রেখে, আর্জেন্টিনার অখ্যাত ক্লাব থেকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে গার্সেকে তুলে আনলেন ম্যারাডোনা। গার্সেকে দলে ঢোকানোর জন্য হাভিয়ের জানেত্তি নামের আরেক পরিচিত খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে হয়েছিল।
স্বপ্নে পাওয়া এই ফুটবলার অবশ্য কিছু করে দেখাতে পারেনাই। কয়েকটা প্রাকটিস ম্যাচ খেলেছিল শুধু। আসল ম্যাচে খেলায়নাই তাকে ম্যারাডনা।
কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। স্বপ্নে দেখা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি নিয়ে ওদের আর নাচানাচি করা হল না।
এমনিতে ম্যারাডোনা প্রচন্ড কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন। ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ক্লাব Gimnasia La Plata এর দায়িত্ব নিলে , তিনি নিজের ক্ষমতা দিয়ে ক্লাবের জার্সি চেঞ্জ করে ফেললেন।
ক্লাবের সকল রঙ থেকে সবুজ বাদ দিয়ে দিলেন। কারন সবুজ নাকি এই ক্লাবের জন্য কুফা ।
ক্লাবের ১৩ নাম্বার জার্সিওয়ালা প্লেয়ারকে মাঠে নামাতেন না। ১৩ নাম্বার জার্সিটাই বাদ দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনের ধারায় আটকে সেটা পারেন নি।
আইন অনুযায়ী, ১ থেকে ২৩ নাম্বারের মধ্যে সব জার্সির নাম্বার রাখতে হবে, মোট ২৩ জন প্লেয়ার থাকতে হবে।
জীবনের বিভিন্ন সময়ে ম্যারাডোনাকে হাতে স্পেশাল ব্যান্ডানা বা স্পেশাল রিবন/ক্যাপ/সানগ্লাস পরতে দেখা গেছে। এগুলা নাকি তার জন্য লাকি চার্ম।
তথ্যসূত্র-