এক. এগারো বছর বয়স থেকে শরীর বিজ্ঞানের ধারনা দেবেন ।
দুই, তেরো থেকে পনেরো হলে – যৌন বিজ্ঞানের উপর সাইন্টিফিক বই পড়তে দেবেন, প্রশ্নের উত্তর দেবেন ।
তিন. দশ বছরে নিচে হলে তাদের পর্যবেক্ষণ করবেন, তারা কখনো কোনো কারণে আপসেট হলে, তারা কারো দ্বারা আবিউজ হলো কিনা, সেটা বের করবেন ।
চার. কিশোরীদের প্রেগনেন্সি, পিরিয়ড এসবের ধারনা এবং এই সময়ে তাদের মন শরীরের পরিবর্তনটি কেমন, সেটিকে সহজ করে সাইন্টিফিক ওয়েতে বুঝিয়ে দেবেন ।
পাঁচ. সেক্স ট্রান্সমিটেড ডিজিজ, আন প্রটেক্টেড সেক্স এর পরিণতি কি, এসব সম্পর্কে সহজ করে বলা ।
ছয়. সেক্স অসল্ট বা অ্যাবিউজ বা হেরেজম্যেন্ট সম্পর্কে কিশোর এবং কিশোরী দু পক্ষকে বুঝাতে, বুঝতে, এবং রোমান্টিক রেসপেক্টফুল রিলেশনশিপ সম্পর্কে উৎসাহ এবং ধারনা দিতে হবে ।
সাত. কিশোর কিশোরীরা সেক্স সম্পর্কে ধারনা কোথাও পায় না বলে অনলাইনের ভুল তথ্য, কিংবা পর্নের শরণাপন্ন হয় । তাদের বুঝাতে হবে – পর্ন -সেক্স এডুকেশন নয়, এবং এটি সেক্সের রিয়েলিটি নয় । সেক্স বাস্তবে একটি ডিগনিটি, সম্মতিমূলক এবং রোমান্টিক সম্পর্ক । এটিকে অনুভব করতে আরেকটি মানুষকে সন্মান এবং ভালোবাসতে হয়, এটি বুঝাতে হবে ।
আট. কিশোরীদের শারীরিক অনুভূতিগুলো কিশোরদের চেয়ে একটু ভিন্ন । কিশোরীদের নিজের শরীরে সেটি বুঝতে বৈজ্ঞানিক আলোচনা করা ।
নয়. তাদের সাথে বন্ধুর মতো হয়ে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করবেন, হোক সেটা পর্ন নিয়ে, যৌনতা নিয়ে । প্রশ্নের উত্তর না পেলে সে ভুল তথ্যের পেছনে ছুটবে । যতটুকু পারেন – কোনটি হেলদি, কোনটি আন হেলদি, দুটোর পার্থক্য ধীরে ধীরে শেখাবেন ।
দশ. একদিন কথা বলেই ভাববেন না দায়িত্ব শেষ । এই বয়সে কৌতূহলের শেষ নেই । পরিণত বয়স হওয়া পর্যন্ত তাদের কৌতুহল মেটাতে দরকার হলে নিজে পড়ালেখা করবেন, জানবেন, জেনে বৈজ্ঞানিক উত্তরটি সহজ করে বলবেন, তবুও ধমক মেরে দমাতে চেষ্টা করবেন না ।
একটি সুস্থ সন্তান একটি দেশের সম্পদ । আপনার চোখের মণি, সান্তনা এবং সম্পদ ।
মনে রাখবেন – অজ্ঞতা বিপদজনক, ভুল জানা ভয়ংকর ।
© অপূর্ব চৌধুরী । চিকিৎসক, কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান লেখক । জন্ম বাংলাদেশ, বসবাস ইংল্যান্ড ।